কক্সবাজারের উখিয়ার কাস্টমস এলাকায় বাংলাদেশ
-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক মোড় এলাকা থেকে (২৮ আগষ্ট) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ন(৩৪ বিজিবি)’র ঘুমধুম বিওপির হাতে ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ সায়েদ আলম প্রকাশ সাঈদী আলম নামের এক পাচারকারী সিএনজি চালক আটক হয়।
উদ্ধার করা এসব ইয়াবা ও জব্দ করা সিএনজি সংক্রান্তে উখিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়।উক্ত মামলায় আটক সিএনজি চালক সায়েদ আলম ছাড়াও উক্ত ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ত আরো ৩ জনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।
উখিয়া থানার মামলা নং-৯৫/২০২১,তারিখ ২৯/০৮/২০২১ ইংরেজী।সময় বিকাল ৩ ঘটিকা।মামলার বাদী কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ ঘুমধুম বিওপির নায়েক সুবেদার মোঃ আনোয়ার হোসেন।
তিনি ইয়াবা উদ্ধার, ধৃত পাচারকারী,জব্দ সিএনজি ও পলাতক আসামীর বিষয়ে উখিয়া থানায় দায়ের করা এজাহারে ৩৬(১)১০(গ) ৩৮/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে সিএনজি গাড়ি যোগে নিজ হেফাজতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট রাখা ও সহায়তা করার অপরাধে ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।ওজন আনুমানিক ৩১ কেজি।যার মূল্য ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।মাদক বহন কাজে ব্যবহ্নত কক্সবাজার-থ-১১-৭৮৯৮ রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারের একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।যার মূল্য ৪ লাখ টাকা।স্যামসাং ব্রান্ড,আইটেল মোবাইল সেট ২টি,যার মূল্য ৩ হাজার টাকা ও পাচারকারীর ব্যবহ্নত একটি টেলিটক ও দুটি রবি সিম জব্দ করা হয়।
উক্ত মামলায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঘুমধুম হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা মৃত ওয়ারেদ আলীর ছেলে ধৃত সায়েদ আলম ওরফে সাঈদী আলম(৪৫)ছাড়াও একই ইউনিয়নের ঘুমধুম নোয়া পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মোঃরাসেল
(২২),মৃত মিয়া হোছন সর্দারের ছেলে মোঃ আলম ওরফে কালাপুতু(৩০) এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বালুখালী পানবাজার এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(২৮) কে পলাতক আসামী করা হয়েছে।পলাতক জাহাঙ্গীর আলমের নামে উখিয়া থানা সহ বিভিন্ন থানায় ইয়াবা,মাদক,মারামারি সহ প্রায় ডজন মামলা রয়েছে।
বিজিবি সুত্র জানায় গত ২৮ আগষ্ট ভোর ৫ টার দিকে বিজিবি’র ঘুমধুম বিওপির জোয়ানরা গোপন খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক মোড়ে কাস্টমস এলাকায় ফাঁদ পেতে অবস্থান নেয়।বিজিবি জোয়ানরা জানতে পারে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ঘুমধুমের নোয়া পাড়া হয়ে কুতুপালং গামী বিপুল পরিমাণের ইয়াবার চালান আসছে।যেমন উৎপেতে থাকা,তেমন কাজ।ভোর ৫ টার সময় ঘুমধুম হয়ে মৈত্রী সড়ক মোড়ে কুতুপালংগামী একটি সিএনজি পৌছলে বিজিবি জোয়ানরা থামানোর সংকেত দিলে চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এসময় চালককে সিএনজি সহ আটক করতে সক্ষম হলেও অপরাপর পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়। পরে চালক সায়েদ আলমের স্বীকারোক্তিতে তল্লাশী চালিয়ে সিএনজির ভিতর অভিনব কৌশলে লুকায়িত ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।।যার মূল্য ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং জব্দ সিএনজির মূল্য ৪ লাখ ও জব্দ ২টি মোবাইল সেট এবং ৩টি সিমের মূল্য ৩ হাজার ৬ শত টাকা।
এদিকে উক্ত ইয়াবা পাচারে সম্পৃক্ত অপরাপর আসামীরা আড়ালে থেকে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে মোটা টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে ঘুমধুম-বালুখালীর একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট চক্র।তারা উক্ত মামলা থেকে রক্ষা পেতে কোটি টাকা বিলিয়ে দেবে মর্মে কথা উড়ছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ এ প্রসঙ্গে বলেন,মামলা হয়েছে,বিজিবি’র সোপর্দ করা আসামী কোর্টে চালান করা হয়েছে।পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃকর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেছেন, উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।মাদক নির্মুল ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে বলেও সত্যতা নিশ্চিত করেন বিজিবি’র এ কর্মকর্তা।