Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
উখিয়ার আটারো নম্বর ক্যাম্পে হামলায় নামাযরত ৭ রোহিঙ্গা নিহত,আহত-১৫,অস্ত্রসহ আটক-১
--প্রতীকী ছবি

উখিয়ার আটারো নম্বর ক্যাম্পে হামলায় নামাযরত ৭ রোহিঙ্গা নিহত,আহত-১৫,অস্ত্রসহ আটক-১

উখিয়া, কক্সবাজার,প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে আরোও ১৫ জন। প্রথমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বলা হলেও পরে জানা গেছে ৮ থেকে ১০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এসে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ জন নিহতের সংখ্যা বললেও পরে ৭ জনের কথা উল্ল্যেখ করেন।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোর সোয়া ৪ টারদিকে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ মুজিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে নিহতরা হলো- ১২ নম্বর নম্বর ক্যাম্পের জে-৫ ব্লকের মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মো. ইদ্রীস (৩২), ৯ নম্বর ক্যাম্পের ২৯ নম্বর ব্লকের মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে মাদরাসা ছাত্র ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ৫২ ব্লকের নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২২) (ভলান্টিয়ার) ও একই ব্লকের আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২) (ভলান্টিয়ার)।

এছাড়াও হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এফ ২২ ব্লকের মো. নবীর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), ২৪ নম্বর ক্যাম্পের রহিমুল্লাহর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫) ও ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ৫২ ব্লকের নুর মোহাম্মদের ছেলে মাদরাসা ছাত্র নুর কায়সার (১৫)।

একাধিক নির্ভযোগ্য সূত্র ও এপিবিএন পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮’র দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদ্রাসার মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায় ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা গ্রুপ। চারদিক থেকে গুলিবর্ষণ হওয়ায় কেউ মসজিদ থেকে বের হতে পারেনি। এতে ঘটনাস্থলে ৪জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ২জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে এপিবিএন।

১৮ নং ক্যাম্পের মাঝি আব্দুল মতলব বলেন, ঘুম থেকে ওঠে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে কানে আসছিল গুলির আওয়াজ। একপর্যায়ে সবাই বসতঘর থেকে বের হয়ে ছুটাছুটি করছিল। আমিও পেছনের দিকে চলে আসি। পরে গিয়ে দেখলাম সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন অনেকেই। যারা মূলত নামাজরত ছিল। কে বা কারা হামলা করেছে তাদের আমরা চিনতে পারিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ এপিবিএনের ময়নারঘোনা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মাদ্রাসা ও মসজিদের চারদিকের অংশে শুধু গুলির চিহ্ন। আর দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে টিনের শেড। আমরা ঘটনাস্থলে অনেক মুসল্লির কর্তনকৃত আঙ্গুলের অংশও পেয়েছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন বলেন, কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অস্ত্রসহ ১জনকে আটক করেছি। ৬ জন নিহত হয়েছেন। আরও ১১ জনকে আহত অবস্থায় এমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহত আরোও থাকতে পারে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, অতর্কিত হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। তবে কারা এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ৬ জনের মরদেহ পুলিশের একটি টীম কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সেখানে তাদের ময়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply