মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে চলতি মৌসুমী সুপারির বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফে ১ হাজার ৮ শত হেক্টর সুপারি বাগান রয়েছে। যার ফলন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫ শত ২০মেট্রিক টন।উখিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৯ শত ৫০ হেক্টর সুপারি বাগান রয়েছে। যার ফলন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৭ শত ৮০ মেট্রিক টন।অপরদিকে টেকনাফ উপজেলা সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ৮ শত ৫০ হেক্টর সুপারি বাগান রয়েছে। যার ফলন উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭ শত ৪০ মেট্রিকটন।উখিয়া-টেকনাফ সমুদ্র উপকূলীয় হওয়ায় এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সুপারি বাগানের উপযোগী। তাই অত্র এলাকায় প্রতিটি ঘরে ঘরে সুপারি বাগান রয়েছে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে শত শত একর জায়গায় সুপারি বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে।জানা গেছে, জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া, ইনানী, নিদানিয়া, মাদার বুনিয়া, ছেপট খালী ও মন খালি এলাকায় গ্রামজুড়ে সুপারি বাগান। পুরো বাগান জুড়ে সুপারির বাম্পার ফলন। রত্নাপালং, রাজাপালং, পালংখালী হলদিয়া পালং ইউনিয়নে অসংখ্য সুপারির বাগান রয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং, হ্নীলা , টেকনাফ সদর সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পরিমাণ সুপারি বাগান রয়েছে। সূত্রে জানা যায়, প্রতি মওসুমে এ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার সুপারি বাজারজাত হচ্ছে। এসব সুপারি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন আড়তে চলে যাচ্ছে। এসব সুপারি প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অর্থকরী ফসল সুপারি উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল স্থানীয়ভাবে ৭ হাজারেরও অধিক পরিবার। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন হয়েছে। সুপারি বাজারজাত করে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার কারণে এলাকাভিত্তিক সুপারি চাষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।