উখিয়া, কক্সবাজার, প্রতিনিধি:
উখিয়ার বিভিন্ন জায়গায় এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত প্রায় অর্ধশতাধিক আঞ্চলিক সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কার্পেটিংগুলো খন্ড-খন্ড আকারে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর প্রাক্কলন তৈরি করে পুণ:মেরামতের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, খাল, পাহাড়, ছড়া ফসলী জমি জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা তৈরির কারণে বৃষ্টি ও ঢলের পানি নিস্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় জনপদ ভাংচুর করছে। এ সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন জনসাধারণ। উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানায়, ভারী বর্ষণে অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম উখিয়ার দারোগা বাজার হয়ে মরিচ্যা জিসি রোড ভায়া পাতাবাড়ী ১২ কিলোমিটার,ভালুকিয়াপালং সড়ক হয়ে খেওয়াছড়ি মরিচ্যা ৫ কিলোমিটার।টাইপালং মাদ্রাসা থেকে কুতুপালং হাইস্কুল ভায়া হাতিমোরা পর্যন্ত ১২২০ মিটার, লম্বাঘোনা রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে একটি কালভার্টের এপ্রোচ সরে গিয়ে জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মরিচ্যা গুরামিয়া গ্যারেজ হয়ে নাপিত পাড়া পর্যন্ত ৫শ মিটার সড়কের কার্পেটিং উপড়ে গিয়ে ছোটখাট যানবাহন চলাচলের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, জুম্মাপাড়াস্থ প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলের পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এলজিইডি সড়কের। ঠিকাদার ইফা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, টানা বর্ষণে পুণ:সংস্কার কাজে ব্যাঘাত ঘটলে তা পুষিয়ে নেয়া হবে।
সড়ক সংস্কারের যাবতীয় উপকরণ ও শ্রমিক কর্মস্থলে উপস্থিত রাখা হয়েছে। যে কারণে কাজের ধীরগতি হওয়ার কোন কারণ নেই। যতদ্রুত সম্ভব উক্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
উপসহকারি প্রকৌশলী আমিনুল হক মজুমদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পিএফ পাড়া, লম্বাঘোনা, কুতুপালং উত্তর পাড়া, পশ্চিমপাড়া, থাইংখালী বৈদ্যঘোনা, ছোরা খোলা, কোর্টবাজার বটতলী, ছাগলবাজার, থাইংখালী হয়ে ধামনখালী সড়ক ও আনজুমান পাড়া সড়কসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামীণ সড়কের ক্ষতি হয়েছে।