অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। অর্থাৎ ঈদের ছুটি শুরু হবে ১২ মে থেকে। চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। ৬ থেকে ১১ মে পর্যন্ত এই ছয় দিনের মধ্যে তিন দিনই থাকছে সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটি। অর্থাৎ কর্মদিবস থাকে মাত্র তিনটি। এ অবস্থায় চলমান ‘লকডাউন’ ঈদের ছুটি পর্যন্ত গড়াবে কি না সেই আলোচনা উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা সরকারের মধ্যেও আছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চলতি লকডাউন শেষ হওয়ার পর ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে পবিত্র শবেকদরের ছুটি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত ১৪-২১ এপ্রিল শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার, যা ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এরপর ২২ থেকে ২৮ এবং ২৯ থেকে ৫ মে পর্যন্ত দুই দফায় এই লকডাউন বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে গত রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিং মলও খোলার অনুমতি দেয় সরকার। এখন শুধু গণপরিবহন এবং জরুরি প্রয়োজনবিহীন সরকারি অফিস বন্ধ আছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এবারের লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। গত ২৯ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করার একটা চিন্তা সরকারের ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের মারাত্মক ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্টের বিষয়টি বিবেচনা করে সেই চিন্তা বাদ দিয়েছে সরকার। বর্তমান নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রমের কারণে দেশের করোনা পরিস্থিতি মন্দের ভালো অবস্থানে আছে বলে মনে করেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আগামী এক সপ্তাহে যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে ঈদকেন্দ্রিক গণপরিবহন চালুর একটা চিন্তা সরকার করতেও পারে। কারণ যতই বিধি-নিষেধ দেওয়া হোক না কেন মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, শপিং মলে যাচ্ছে। প্রাইভেট কারে করে আন্ত জেলা যাতায়াতও করছে। তাই করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে এক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চালুর একটা সুযোগ দিলে দিতেও পারে সরকার।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আপাতত ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো লকডাউন কিভাবে সফলভাবে শেষ করা যায়, সরকার সেই কাজ করছে। ৫ মের পরে কী হবে তা চলমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জানানো হবে। এ বিষয় নিয়ে অগ্রিম কথা বলার সুযোগ নেই।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিশ্লেষণ করে নানা তথ্য উপস্থাপন করছেন। বিষয়গুলো আমাদের চিন্তায়ও আছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত কী হবে সেটা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব। এখনো সিদ্ধান্ত জানানোর পর্যাপ্ত সময় হাতে আছে।