নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
গত ২৬ জুলাই শুরু হওয়া টানা অতিবৃষ্টির ফলে ঈদগড়ের ফুলেশ্বরী নদীর প্রবল পাহাড়ি ঢলে পানির স্রোতে ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের প্রায় সড়ক নদীর পেটে বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার সকাল ১০টায় ঈদগড় ইউনিয়নের পানেরছড়া পয়েন্টে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
এতে উপজেলার সঙ্গে পাহাড়ি জনপদ রামুর ঈদগড় ও বান্দরবানের বাইশারী ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়কের উভয় পাশে পণ্যবাহী অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
খবর পেয়ে ছুটে যান কক্সবাজার -রামু আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি তিনি পরিদর্শন শেষে বাইশার-ঈদগড়- ঈদগাঁও মানুষের যোগাযোগের জন্য দ্রুত বিলীন হওয়া রাস্তা টি যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশ্বস্থ করেন।
ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো জানান, রামু উপজেলার পাহাড়বেষ্টিত ইউনিয়ন ঈদগড় ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড়ঘেরা ইউনিয়ন বাইশারীর লক্ষাধিক মানুষের জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হচ্ছে ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়ক। দীর্ঘদিন যাবৎ কাঁচা রাস্তা থাকার পর সড়কটি এক দশক আগে পাকা হয়। এতে পাহাড়ি জনপদের লোকজনের যাতায়াত সহজ হওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে উৎপাদিত রাবার, সবজিসহ নানা কৃষি এবং পাহাড়ি পণ্য নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ শফি উল্লাহ জানান,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এখন মিনি রাবার শিল্পনগরী হিসাবে ক্ষত বলা চলে। রাবারের সুবাদে এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের বসবাস বাড়ছে। চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজনে দেশের যে কোনো প্রান্তে যেতে বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কই একমাত্র ভরসা। সড়কটি মাঝখানে ধসে যাওয়ায় সবাই বেকায়দায় পড়েছিল। এখন জরুরি রোগী নিয়ে যাওয়ারও পথ থাকল না। দ্রুত বিকল্প পথ না হলে পড়তে হবে চরম ভোগান্তিতে তাই তিনি রামু – কক্সবাজার আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, এ সড়কটা পার্বত্য চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের আওতাধীন। তবুও যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।