আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও অন্যান্য আইন প্রণেতাদের মতো দেশ থেকে পালিয়ে যাবেন বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো। গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
এ বিরোধী নেতা বলেন, ইমরান খানও পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল অভিযোগ করেন, ইমরান খান মোশাররফের লক্ষ্য অনুসরণ করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইমরান খানের উপকারভোগী স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে দারিদ্র্যের হার ৫০ শতাংশ ছিল। কঠোর শর্তে বিদেশ থেকে প্রচুর ঋণ নেওয়া হচ্ছে যা দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরো বাড়িয়ে তুলবে। ইমরান খানের মন্ত্রিসভা জাতীয় কোষাগার থেকে অর্থ নষ্ট করছে, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের অপরাধ কেবল মুদ্রাস্ফীতি নয়, মাফিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতাও। যা দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটাচ্ছে। বিলাওয়াল আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অন্যকে দোষ দিচ্ছেন তবে তার উচিত “প্রথমে তার নিজের কর্মের দিকে নজর দেওয়া”। ইমরান খানের সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফরের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একই প্রধানমন্ত্রী যিনি অন্য দেশ থেকে ঋণ না নেওয়ার কথা বলতেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তিনিই এখন বিশ্বের যে কোনো জায়গায় “ভিক্ষার বাটি” নিয়ে ঘুরছেন।
পাকিস্তানের আর্থিক ঋণ অব্যাহত থাকায় প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চীন থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের অযোগ্য অর্থনৈতিক নীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে খুব কঠিন করে তুলেছে।
তিনি বলেন, “ঋণ থেকে আমরা যে অর্থ পেয়েছি তা যদি দুর্নীতিতে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে তবে সাধারণ মানুষ মুদ্রাস্ফীতির বোঝা বহন করতেই থাকবে। চীন সরকারের দ্বিধা (তহবিল দেওয়ার ক্ষেত্রে) আসলে পিটিআই সরকারের প্রতি তাদের আস্থার অভাবের বহিঃপ্রকাশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে ভয় পান বলেও মন্তব্য করেন বিলাওয়াল ভুট্টো।
সূত্র: এএনআই।