কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ আল হাদীর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মোর্শেদকে আহ্বায়ক করে গড়া তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাক মোহাম্মদ আব্দুল মুক্তাদির মুনওয়ার আলী। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে কমিটির সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. মোস্তাক মোহাম্মদ আব্দুল মুক্তাদির মুনওয়ার আলী বিকেলে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর অভিযুক্ত হাদী মহানবী মোহাম্মাদ (সা:)-কে অবমাননার ঘটনায় ফ্রান্সের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এতে হাদীর বিরূদ্ধে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে গেলে শুরু হয় তোলপাড়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন। শিক্ষার্থীরা তার বিরূদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকর মন্তব্য ও নারীদের হেয় করার অভিযোগ করেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে এলে ৩১ অক্টোবর বিভাগীয় একাডেমিক সভায় প্রশাসনের কাছে বিভাগ থেকে তার ছাত্রত্ব বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইফুল্লাহ আল হাদী ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারও করে কর্তৃপক্ষ।