সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর পালন করেছেন। এই রাতেই দেশের বেশির ভাগ মসজিদে তারাবির নামাজে কোরআন খতম হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মহিমান্বিত রাতটি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদতে কাটিয়েছেন। দেশের বেশির ভাগ মসজিদে এই রাতে তারাবি নামাজে কোরআন খতম হয়। এরপর সদকা, জাকাতসহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর দোয়া হয়।
রাজধানীর মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। তারাবির পর ইসলামী জীবন যাপন প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন খতিব ও ইমামরা। এরপর দেশ-জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় অশ্রুসিক্ত নয়নে মোনাজাত করা হয়। রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি ও গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন সবাই।
লাইলাতুল কদর বা মহিমান্বিত রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়। এই সময়ে যেকোনো ভালো কাজ ও আমলের বিশেষ প্রতিদান রয়েছে। মহান আল্লাহ এই রাতে নামাজ আদায়কারীর অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করেন। অবশ্য হাদিসে রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতে মহিমান্বিত রাতটি খুঁজতে বলা হয়েছে।