Saturday , 23 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
ইতিহাসের আলোকে বিশ্বনবী (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ
--ফাইল ছবি

ইতিহাসের আলোকে বিশ্বনবী (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ

ধর্ম ডেস্ক:

মহান আল্লাহ পথহারা মানবকুলকে পথের দিশা দেওয়ার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তারই ধারাবাহিতায় প্রেরণ করেন সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। তিনি এসে আল্লাহর দীক্ষা আর কোরআনি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন গোটা বিশ্বকে।

মুসলমানদের মধ্যে, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে অবস্থানরত মুসলমানদের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর জন্মের দিনটির ভাবগাম্ভীর্য অনেক বেশি।

প্রসিদ্ধ সিরাতবিষয়ক গ্রন্থ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’-এ এসেছে, ‘সায়্যিদুল মুরসালিন মক্কায় বনি হাশিমের ঘাঁটিতে সোমবার সকালে ৯ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন, যে বছর হাতির ঘটনা ঘটে (আর রাহিকুল মাখতুম, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৪৫)

তাফসিরে মা‘আরিফুল কোরআনে রাসুল (সা.)-এর জন্মদিন বলা হয়েছে রবিউল আউয়াল মাসের ৯ তারিখ সোমবার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সৌর হিসাবে তাঁর জন্ম তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর। তিনি জন্মগ্রহণ করেন মক্কা নগরীর পাশের পাহাড়ের উপত্যকায় অবস্থিত বাড়িতে।

এ ছাড়া জন্ম তারিখ নিয়ে আরো অনেক মতানৈক্য পাওয়া যায়, যেমন—

ইবনে খালদুনের মতে, ১২ রবিউল আউয়াল (সিরাতে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা ১১৭)

অনেকের মতে, ৯ রবিউল আউয়াল সোমবার রাসুুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মদিন। (কাসাসুল কোরআন, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৫৩)

ইবনে কাসিরের মতে, ১৮ রবিউল আউয়াল (আলবিদা ওয়ান নিহায়া, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৪২)

আবু মাশার নাজিহের মতে, ২ রবিউল আউয়াল (তাবাকাতে ইবনু সাদ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮০)

সুতরাং আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে রাসুল (সা.) রবিউল আউয়াল মাসের সোমবারে জন্মগ্রহণ করেন, এ ব্যাপারে কোনো মতানৈক্য নেই। এবং সেটি ছিল ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে। এই সোমবার ৮ অথবা ৯ কিংবা ১২—এটুকুতেই হিসাবের পার্থক্য আছে মাত্র।

(ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)তা ছাড়া রাসুল (সা.) ১১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখেই  ইন্তেকাল করেছেন মর্মে অসংখ্য উদ্ধৃতি আছে। (আর-রওদুল উন্ফ : ৪/৪৩৯-৪৪০, আস-সিরাহ আন-নববিয়্যাহ : ৪/৫০৯, ফাতহুল বারি : ৮/১৩০)

রাসুল (সা.)-এর জন্ম ও জীবনবৃত্তান্ত মানুষের জন্য প্রয়োজন। রাসুল (সা.) হলেন মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। (সুরা আহজাব, আয়াত : ২১)

তাই নবীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবী (সা.)-এর আদর্শে জীবন পরিচালনা করার মধ্যেই আছে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা।

লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

sukawsar@gmail.com

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply