মিয়ানমারে হত্যা-নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের ফাঁকে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আলজাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্কের নেওয়া সাক্ষাৎকারটির সংক্ষিপ্ত একটি অংশ ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেছে সংবাদমাধ্যমটি। পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি আগামী শনিবার সম্প্রচার করা হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি খুবই কঠিন। কারণ সারা বিশ্বের মনোযোগ এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দেশটির উদ্বাস্তুদের দিকে।
প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ চাওয়া : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মতো উত্তরণের পথে অগ্রসরমাণ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকার কমপক্ষে ছয় বছর বাড়ানোর পক্ষে সমর্থন চেয়েছেন। তিনি এলডিসি ৫ জাতিসংঘ সম্মেলনের সাইডলাইনে এক অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সহযোগীদের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার কাতারের কিউএনসিসি আয়োজিত ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন : মার্চিং টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের জন্য পাঁচটি পরামর্শ তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য কমপক্ষে ছয় বছরের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ; বাণিজ্যের জন্য সহায়তাসহ তাদের বাণিজ্য সুবিধা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করতে হবে।’
দ্বিতীয় পরামর্শে বেসরকারি খাতে প্রণোদনার মাধ্যমে উত্তরণের পথে অগ্রসর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এফডিআইপ্রবাহ বাড়ানো এবং পারস্পরিক কল্যাণমূলক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি হালনাগাদ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তৃতীয়ত, তিনি শিল্প সম্পর্ক উন্নত করা এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে দক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার উপায় অনুসন্ধানসহ উত্তরণের পথে অগ্রসর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে টেকসই শিল্প প্রবৃদ্ধি জোরদারের আহ্বান জানান।
কাতার থেকে গতকাল বিকেলে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ছবি : পিএমও