বাংলাদেশ-ভারতের রেলযোগাযোগ রয়েছে, সেটি আরো বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন গেলে সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ট্রেন যায়, তাতে কী তাদের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়?
বুধবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বিরোধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা তাদের রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিষয়, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা স্মারক করে বা চুক্তি করে।
ঐকমত্য হয়, দ্বিমত হয়; সেটা তাদের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত সফরে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। মির্জা ফখরুলকে বলব, ভালোমতো পড়াশোনা করে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে।
যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়েছে, সবগুলো বাংলাদেশের স্বার্থে।
হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে পারেনি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে ভারতের ভূমির ওপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন না হলেও পানি পাবে বাংলাদেশ। তবে এই চুক্তি নবায়নের জন্য আমরা কথা বলেছি।
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি খুনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যার বিষয়টি এখনই শুনলাম। দুই দেশই সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে তৎপর।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন।