আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে অপরাধমূলক সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। বিদেশে মানবিক ত্রাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটির ওপর এমন আক্রমণ ট্রাম্পের পদক্ষেপের একটি উল্লেখযোগ্য নতুন দিক চিহ্নিত করেছে।
গত সোমবার ইলন মাস্ক ইউএসএআইডিকে ‘অপরাধমূলক সংগঠন’ বলে অভিহিত করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পৃথক তিনটি টুইটে বলেছেন, ‘আপনারা জানেন কী, ইউএসএআইডি আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে।
তবে একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে তৈরি হলেও সরকারি কোনো বিভাগ নয়। সরকারি সংস্থার সদস্যরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের সুযোগ পান। পরে অবশ্য ডিওজিই-এর সদস্যদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং অবশ্য বলেছেন, ডিওজিই-এর কর্মীরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেননি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া সংবাদ’ ও ‘নির্জলা মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন।
এক্সে শেয়ার করা পোস্টে চিউং বলেন, ‘গণমাধ্যম কতটা অসতর্ক ও অবিশ্বাসযোগ্য, এটি তারই প্রমাণ।’ তবে ডিওজিইতে কর্মরত ক্যাটি মিলার এক্সে লিখেছেন, ‘যথাযথ নিরাপত্তা অনুমোদন নিয়ে কোনো গোপন নথির এলাকায় প্রবেশ করা হয়েছিল।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল এইডের (ইউএসএআইডি) অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও এবার বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চেষ্টা করেও ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা যায়নি। এমনকি ইউএসএআইডির এক্স অ্যাকাউন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন, ‘জরুরি সহায়তার অগ্রাধিকার নির্ধারণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যেখানে ওয়াশিংটন অন্য যেকোনো কিছুর জন্য তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে।’ এমন খবরও পাওয়া গেছে, ট্রাম্প ইউএসএআইডিকে পররাষ্ট্র দপ্তরে অন্তর্ভুক্ত করতে চান।
ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে। গত সপ্তাহে প্রশাসন জানিয়েছিল, বৈশ্বিক সহায়তা কার্যক্রম ট্রাম্পের ‘আমেরিকা সবার আগে’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা পর্যালোচনার জন্য তারা বিদেশি সাহায্য সাময়িকভাবে স্থগিত রাখছে।