গণতন্ত্র সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গত বৃহস্পতিবার ‘গণতন্ত্র সূচক-২০২২’ প্রকাশ করে। দুই ধাপ উন্নতি হলেও বাংলাদেশের স্কোর আগের মতোই আছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইআইইউ। তারা গণতান্ত্রিক সূচকে ১৬৭টি দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সেখানে বাংলাদেশ আছে ৭৩তম অবস্থানে। বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ‘হাইব্রিড রেজিমের’ তালিকায়। এর অর্থ এখানে নিয়মিত নির্বাচন হলেও তাতে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম, ব্যাপক দুর্নীতি ও আইনের শাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুর্বলতা আছে বলে ধারণা করা হয়।
২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬.১১। ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ হিসেবে তখন বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরের বছরই বাংলাদেশের স্কোর ৬-এর নিচে নেমে আসে। তখন থেকেই বাংলাদেশকে ‘হাইব্রিড রেজিম’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে।
১০-এর মধ্যে ৮ বা এর ওপরের স্কোরের দেশগুলোকে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’, ৬ থেকে ৮-এর মধ্যে স্কোরের জন্য ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে হলে ‘হাইব্রিড রেজিম’ এবং ৪-এর নিচে হলে ‘কর্তৃত্ববাদী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিন বছর ধরে বাংলাদেশ ৬ থেকে মাত্র .০১ পয়েন্ট কম পেয়ে আসছে।
ইআইইউর এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৯.৮১ স্কোর নিয়ে আগের মতোই তালিকার শীর্ষে আছে নরওয়ে। গণতন্ত্র সূচকে চার ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখন ৩০। দেশটির স্কোর ৭.৮৫। ২২ ধাপ পিছিয়ে ১৪৬তম স্থানে আছে রাশিয়া। ৮ ধাপ পিছিয়ে ১৫৬তম স্থানে আছে চীন।
২০২২ সালে বিশ্বে গণতন্ত্রের স্কোর ছিল ৫.২৯। আগের বছরের চেয়ে তা মাত্র .০১ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বের মাত্র ৮ শতাংশ জনগণ ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের’ মধ্যে আছে অভিহিত করেছে ইআইইউ। সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পূর্ণ গণতন্ত্র আছে ২৪টি দেশে। ৪৮টি দেশে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ৩৬টি দেশে ‘হাইব্রিড রেজিম’ ও ৫৯টি দেশে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসন’ আছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন