বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের ঘোষণায় আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের মাঠ এখন অনেকটাই ফাঁকা। শাসকদল আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ না দিলেও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠে লড়াই হবে শাসকদলের প্রার্থীদের মধ্যেই।
গত সোমবার প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা শেষে দেখা গেছে, বেশির ভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারী নেতা।
গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় পৃথকভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, এর বাইরে জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী রয়েছেন। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর একজন ও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী রয়েছেন। তিনটি পদেই একটি করে প্যানেল হয়েছে স্থানীয় দুই এমপির সমর্থকদের।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ-প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেছে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। সংসদ সদস্যদের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদের দাম তিন কোটি টাকা উঠেছে—রামগঞ্জের কয়েকজন আমাকে এমন খবর জানিয়েছে। এবার একক প্রার্থী ঘোষণা, সমর্থক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি জানাব।’
বরিশালে এমপি-মন্ত্রীর প্রার্থী
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে সদর আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য এস এম জাকির হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান মধু।
বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুসারীরা থাকায় ভোটে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন মনিরুল ইসলাম ছবি। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক প্রকাশ্যে তিনজনের কাউকে সমর্থন না দেওয়ার কারণে অনুসারীরা রয়েছে নিস্তব্ধ।
বড়লেখায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে বিএনপি নেত্রী
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাহেনা বেগম হাসনা নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। এর আগে টানা তিনবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পরাজিত করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেও এবারের ৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় টানা চারবারে রেকর্ড সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।