অনলাইন ডেস্ক:
সরকারপ্রধানের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এ অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছে সরকার। গত কয়েক দিনে পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশের ইউএনও ও এসি ল্যান্ডদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। দুই দফায় গত জানুয়ারি ও জুন মাসে এক লাখ ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করেছে সরকার।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব শফিকুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ সদরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হাসান শিপলু, বগুড়ার শেরপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিয়াকত আলী সেখ, বরগুনার আমতলীর ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান এবং মুন্সীগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনকে ওএসডি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে উপসচিব শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে এক লাখ ১৮ হাজার ৩৮০ জন ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবারকে দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা শুরুর পর কিছু এলাকায় ঘর ভেঙে যাওয়া এবং ফাটলের ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। কারো কারো বিরুদ্ধে তালিকা অনুযায়ী ঘর না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
এসব ঘটনায় সরকারের ত্বরিত উদ্যোগে সারা দেশের ইউএনও, এসি ল্যান্ডদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘর করার জন্য গঠিত কমিটিতে ইউএনওর সভাপতিত্বে সদস্য হিসেবে আছেন উপজেলা প্রকৌশলী, এসি ল্যান্ড, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। ওএসডি হওয়া ও বর্তমানে দায়িত্বে থাকা একাধিক ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে আতঙ্কের কথা জানা গেছে। একজন ভুক্তভোগী সাবেক ইউএনও জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের দু-এক জায়গায় দুর্নীতি হলে হতেও পারে। কিন্তু যেভাবে সামান্য অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে কেউই রেহাই পাবে না। এ কারণেই সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে গেলে কিছু ভুল-ত্রুটি হবেই।