১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন জুলাই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে এসে এ তথ্য জানান প্রবাসী প্রতিনিধি দলের সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ।
তিনি বলেন, রমনা জোনের ডিসির উদ্যোগে আমাদের ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাই।
সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দুবাই যাচ্ছেন। সে জন্য আজই আমাদের দাবির বিষয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কেন আমাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছে না, তা নিয়ে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
প্রয়োজন হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হবে। যেহেতু তারা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছে, তাই আমরা আগামী ১০ দিন আমাদের আন্দোলন স্থগিত রাখছি। ১০ দিনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে, আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।বেলা ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের ছয়জন প্রতিনিধিকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনাতে যান রমনা জোনের ডিসি।
প্রতিনিধি দলে খালেদ সাইফুল্লাহ ছাড়াও মীর রাজিব, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন অপূর্ব, নাঈম ও মাইনুদ্দিন।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলা মোটর মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। মিছিলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দেয়। পরে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন তারা। এরপর রমনা জোনের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন।
তাদের প্রধান ৩টি দাবি। সেগুলো হলো— প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করা; ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন পরিকল্পনা ঘোষণা এবং প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকারকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।