ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
দীর্ঘ ৩৭বছরের পুলিশের চাকরি জীবন শেষে কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন আজ অবসরে যাচ্ছেন। তার এই অবসরকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তার শেষ কর্মস্থল থেকে বিদায় জানায় সহকর্মীরা।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নে সন্তান পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন।
চাকরি জীবনের ৩৭বছর ২৩দিনের মাথায় ছুটিতে পিআরএল-এ যাচ্ছেন তিনি। জীবনের দীর্ঘ সময় পুলিশ বাহিনীতে উৎসর্গ করে দিয়েছেন তিনি। তার এই দীর্ঘ পথ চলাকে স্মরনীয় রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।
তাকে নতুন কাপড়ে বিদায় জানাতে পাঞ্জাবি-পাজামা ও টুপি উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া নামাজ পড়তে জায়নামাজ-তছবী এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য পৃথক উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিনকে চাকরি জীবন থেকে শেষ কর্মস্থল হতে বাড়িতে পৌছে দিতে ফুল দিয়ে সাজানো হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলামের ব্যবহৃত পুলিশ পিকআপটি।
ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়ার সড়কটি প্রসস্থ না হওয়ায় গাড়ি সেখানে ডুকতে পারবে না, তাই গাড়ির পাশাপাশি একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশা ফুল ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয় তাকে ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে। বেলা ১১টার দিকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যান পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন। সুসজ্জিত ওসির পিকআপটির সামনের আসনে বসেন তিনি, পেছনের আসনে বসেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। তাদের সাথে গাড়িতে উঠে পরিদর্শক (তদন্ত) কাজি মাসুদ ইবনে আনোয়ার ও পরিদর্শক (অপারেশন) সোহরাব হোসাইন। সুসজ্জিত পিকআপটি সামনে ও পেছনে থাকে সাজানো সিএনজি চালিত অটো রিকশাটি ছুটে চলে। সদর মডেল থানা পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিনকে থানার শেষ সীমানা উজানিসার পর্যন্ত গিয়ে বিদায় দিয়ে আসেন।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন বলেন,’ দীর্ঘদিন চাকরি জীবনে সুখ-দুঃখের মাঝে কাটিয়েছি। আজ আমার চাকরির শেষ দিনে আমাকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে তাতে সারাজীবনের দুঃখ ভুলে গেছি। কৃতজ্ঞতা জানাই সদর মডেল থানার ওসি স্যার সহ সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি।
এই বিষয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৩৭বছর পুলিশ বাহিনীতে সফলতার সাথে কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন চাকুরী করেছেন। তার বিদায় লগ্ন স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের এই আয়োজন ছিল। পাশাপাশি অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তার এই বিদায়ের আয়োজন দেখে অনুপ্রাণিত হবেন।