Monday , 17 March 2025
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
আবুধাবির বৃহত্তম ইফতারে মুসল্লিদের ভিড়
--সংগৃহীত ছবি

আবুধাবির বৃহত্তম ইফতারে মুসল্লিদের ভিড়

ধর্ম ডেস্কঃ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম নান্দনিক স্থাপনা আবুধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক মসজিদটি দেখতে যায়। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে থাকে মুসল্লির উপচে পড়া ভিড়। প্রতিদিন হাজার হাজার মুসল্লির ইফতারের ব্যবস্থা থাকে এখানে।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ সেন্টারের তত্ত্বাবধানে ‘আওয়ার ফাস্টিং ইনিশিয়েটিভ’-এর আওতায় রমজান মাসজুড়ে ২১ লাখ প্যাকেটের বেশি ইফতারি বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে মসজিদ প্রাঙ্গণে সাড়ে ছয় লাখ এবং আবুধাবির বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ১০ লাখ প্যাকেট ইফতারি বিতরণ করা হয়। তা ছাড়া রমজানের শেষ ১০ রাতে ৩০ হাজার জনকে সাহরি বিতরণ করা হয়।

গ্র্যান্ড মসজিদ আয়োজিত সুবিশাল ইফতার আয়োজনে অংশ নেন মিসরীয় নাগরিক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এখানে এসে নিজ দেশে থাকার অনুভূতি তৈরি হয়; যেন আমরা নিজ পরিবার ও মানুষের মধ্যে রয়েছি। এমন উন্মুক্ত স্থানে ইফতার আমাদের মধ্যে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অনুভূতি তৈরি করে। বিশেষত বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে ইফতার উপভোগ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ।’শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৪ সালে মসজিদটিতে ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৩ জন মুসল্লি ও পর্যটকের আগমন ঘটেছে।

এর মধ্যে ৮১ শতাংশই ছিল বিদেশি পর্যটক এবং বাকি ১৯ শতাংশ ছিল আমিরাতের। আর ৫২ শতাংশ পর্যটক ছিল এশিয়ার বিভিন্ন দেশের।১৯৯৬ সালে  মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০০৭ সালে ঈদুল আজহায় মসজিদটি উন্মুক্ত করা হয়। প্রায় ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি মসজিদটির আয়তন পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার বর্গমিটার। এখানে একসঙ্গে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ নামাজ পড়তে পারে।

এর ভেতরে রয়েছে ৮২টি সাদা মার্বেলের গম্বুজ, বাইরের এক হাজার ৯৬টি কলাম, ভেতরের ৯৬টি মণি খচিত কলাম এবং সাতটি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণখচিত ঝাড়বাতি। বিশ্বমানের ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কর্মী মসজিদটি নির্মাণে কাজ করেছেন।সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামানুসারে মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে। তিনিই এই মসজিদ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই মসজিদ নির্মাণের স্থাপত্যবিষয়ক নির্দেশনা তাঁরই ছিল। ২০০৪ সালে তিনি মারা গেলে মসজিদ চত্বরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।

 

তথ্যসূত্র : গালফ নিউজ

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply