অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা আবারও বাংলাদেশে এসে পড়েছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গতকাল শনিবার সকাল থেকে তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে মিয়ানমার বাহিনীর অভিযানে হেলিকপ্টারের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে যুদ্ধবিমানও। সেগুলোর কোনো একটি থেকে ছোড়া দুটি গোলা গতকাল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে পড়ে।
এদিকে ঢাকার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের আর কোনো নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম বলেছেন, সীমান্তে উসকানির প্রতিবাদ জানাতে আজ রবিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২০ ও ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে মর্টারের গোলা বাংলাদেশে এসে পড়েছিল। সে সময় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দুই দফায় তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গত সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী ‘আরাকান আর্মির (এএ)’ সঙ্গে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের আকাশ থেকে অনেক গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম এলাকায় দুটি গোলা এসে বাংলাদেশের ভেতরে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে যেখানে গোলা পড়েছে সেই এলাকায় পাহাড় ও জঙ্গল রয়েছে। সেখানে লোকজনের উপস্থিতি তখন ছিল না।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় আছে। সেখানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গতকাল বিকেলে বলেন, ‘মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া গোলা আমার ইউনিয়ন এলাকায় এসে পড়লেও ভাগ্য ভালো তখন সেখানে কোনো লোকজন ছিল না। সীমান্তবর্তী আমার ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। এখন আমরা সবাই আতঙ্কিত সময় পার করছি। ’ ঘুনধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবদুল জব্বার বিকেল ৫টার দিকে জানান, ‘আমি এখন সীমান্তে অবস্থান করছি। আমাদের সীমান্তের পাশে আকাশে দুটি হেলিকপ্টার ঘুরছে। ’
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন