গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গাইবান্ধায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। জেলার সাত উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নসহ নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে নদীবাহিত পলির বেলে-দোয়াশ মাটিতে ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষার আবাদ ভালো হওয়ায় এসব এলাকার দরিদ্র কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নসহ নদী বেষ্টিত নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ বছর কৃষকরা সরিষা চাষ করায় এবার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। এ বছর ঘন কুয়াশার প্রকোপ কম থাকায় প্রতিটি জমিতেই সবুজ সরিষা গাছগুলো হলুদ ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে সরিষা ফুল ঝরতে শুরু করে গাছগুলোতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতটি উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৫শ’ ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষা হয়েছে। গত মৌসুমে ৯ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছিল। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার চাষাবাদ বেড়ে গেছে। এবার স্থানীয় জাতের সরিষায় হেক্টর প্রতি ফলন হয় দশমিক ৫ থেকে দশমিক ৬ টন। সে তুলনায় বিনা ও বারিসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করায় এর চাষ বেশী হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান জানান, মৌসুমের শুরুতে অনুকুল আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। সরিষা চাষে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।