অনলাইন ডেস্ক:
জাতিসংঘের মুখপাত্র আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে আফগানিস্তানের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জাতিসংঘ। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় আফগানিস্তান বা আঞ্চলিক সব দলের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।’
মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে যেসব তথ্য জানা গেছে সেগুলো ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ এবং ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে উত্তর পাকিস্তানে এই তালেবান আন্দোলনের জন্ম। ধারণা করা হয়, মাদরাসাগুলোতে প্রথম এরা সংগঠিত হয়। এই মাদরাসাগুলো পরিচালিত হতো সৌদি অর্থে- এবং সেখানে খুবই কট্টর সুন্নি মতাদর্শের ইসলামই প্রচার করা হতো।
১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা ইরান সীমান্তবর্তী আফগান প্রদেশ হেরাত দখল করে নেয়। আর এর ঠিক এক বছর পর তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে। তারা প্রেসিডেন্ট বুরহানউদ্দীন রাব্বানির সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৮ সাল নাগাদ তালেবান আফগানিস্তানের প্রায় ৯০ শতাংশ অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
তালেবানের প্রথম দিকের জনপ্রিয়তার মূলে ছিল কয়েকটি বিষয় : তারা দুর্নীতি দমনে সাফল্য দেখিয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিল, তারা তাদের নিয়ন্ত্রিত রাস্তা দিয়ে এবং অঞ্চলে নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়েও তালেবানরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছিলো তারই পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় বেশি আতঙ্কিত আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ। তারা বলছেন, এই নীতিগুলোর অনেকগুলো এখন তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ফিরে এসেছে।
সূত্র : স্পুটনিক, টাইমস অব ইন্ডিয়া