শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ছয় মাস পূর্ণ হয় গতকাল বুধবার। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়, রাতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তর থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া আসে।
এরই ফলশ্রুতিতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নেন ছাত্র-জনতা।
এরপর শুরু হয় ভাঙচুর। তবে শুধু এই বাড়িটিই নয়; শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ও ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছে অন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা গণমাধ্যম রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়ি উচ্ছেদ করেছে বিক্ষোভকারীরা’।
তুরস্কের অন্যতম গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড তাদের শিরোনাম করেছে, ‘ভারতে থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এপি তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’।
সৌদি আরবের অন্যতম গণমাধ্যম আরব নিউজ তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্ত একটি বাড়িতে তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’।
কাতারভিত্তিক অন্যতম গণমাধ্যম আল জাজিরা শিরোনাম করেছেন, ফ্যাসিজমের প্রতীক শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। আর প্রতিটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এই কারণেই এই হামলার সূত্রপাত ঘটে।