ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে আরো কিছু নতুন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি। ডিবির ভাষ্য, কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার সময় শাহীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শাহীনের পিএস পিন্টু এ হত্যাকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এমপি আনারকে অচেতন করার জন্য ক্লোরোফর্ম ও চাপাতি সরবরাহ করেন তিনি।
এরপর আদালত তাঁদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল জানান, আখতারুজ্জামান শাহীন তাঁদের ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ভিসা হওয়ার পরে আখতারুজ্জামান শাহীন ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে ট্রেনে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য। ভারতে গিয়ে তাঁরা ১০ এপ্রিল কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসে প্রবেশ করেন। ১৩ মে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বেরিয়ে লাল গাড়িতে করে এমপি আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেনসে নিয়ে আসেন ফয়সাল। এরপর শাহীনের পিএস পিন্টুর কাছ থেকে অচেতন করার জন্য ক্লোরোফর্ম ও চাপাতি নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করেন মোস্তাফিজ, ফয়সাল ও জিহাদ।
তিন আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন
এমপি আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ‘দায় স্বীকার’ করে দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তিন আসামি। গতকাল সেসব আবেদন শুনে নথিভুক্ত করে রাখার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম। আবেদনকারীরা হলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, আমান উল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়া।