২০০৮ সালের পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ বছর আমাকে কোনো পদ-পদবিতে রাখেননি বলে আদালতকে জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নূরের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
মনসুর আহমেদ বলেন, মামলার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বড় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকা শাহিন কলেজের টিচার। মেজো মেয়ে কানাডার অটোয়াতে থাকে। আর ছোট মেয়ে ব্যারিস্টার। আমার মেজো মেয়ে সন্তানসম্ভবা। তাকে দেখতে ১০ মে কানাডা যাই। সেখান থেকে নিকটবর্তী দেশ আমেরিকায় আমার ভাইয়ের দুই ছেলে থাকে। সেখানে যাই তাদের দেখতে।
তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালে আইয়ুববিরোধী থেকে আন্দোলন শুরু করি। রাজনীতির ৫৫ বছর হতে যাচ্ছে। ১৯৭০-এর নির্বাচনে, ৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছি। এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। ডাকসুর নির্বাচনে জয়ী হই। এ নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক হয়। ১৯৯৬-তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মৌলভীবাজার-২ থেকে নির্বাচিত হই। ২০০৮-এর পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি দেশত্যাগ করেছেন নেতাকর্মীদের রেখে, তিনি ২০ বছর আমাকে কোনো পদ-পদবিতে রাখেননি।
ডাকসুর সাবেক এ নেতা বলেন, ২০১৮ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিই। ধানের শীষ নিয়ে ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হই। আমাদের সব প্রগ্রাম কামাল হোসেন ঠিক করে দেন। আমাকে ফোন দিয়ে সংসদে যোগদান করতে বলেন। যে সময় কোটা আন্দোলন, তখন দেশের বাইরে ছিলাম। ২০১৮ সালে কোটা বাতিলে সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা রাখি।