Thursday , 21 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
আদানির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি যাচাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার
--ফাইল ছবি

আদানির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি যাচাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার

অনলাইন ডেস্কঃ

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি যাচাই-বাছাই করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০১৭ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ঝাড়খণ্ড ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুক্তির শর্তাবলি এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা ন্যায্য কি না খতিয়ে দেখতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আদানি গ্রুপের মতো ভারতীয় কম্পানিগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এই তদন্তের মূল লক্ষ্য ভারতীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো নয়। বরং বাংলাদেশ আসলে আদানি পাওয়ারকে কত টাকা দিচ্ছে, সেটা যৌক্তিক কি না সেসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আদানি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার।

গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং বাংলাদেশের মোট বিদ্যুতের ৭-১০ শতাংশ সরবরাহ করা শুরু করে। ২০২৩-২৪ সালে এটি প্রায় সাত হাজার ৫০৮ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে, যা ভারতের বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রায় ৬৩ শতাংশ।

আদানি পাওয়ারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের পিপিএ পর্যালোচনা করছে—এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা প্রকৃত অংশীদারির চেতনা নিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি, যদিও আমাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাওনা রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং আমাদের পাওনা দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ এটি আমাদের কার্যক্রমকে টেকসই রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যানশিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করেছে আদানি গ্রুপ।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ঢাকার মোট বিদ্যুৎ দায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার এবং আদানির ৪৯২ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। আদানির মোট পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের গড় মূল্য ছিল প্রতি ইউনিটে আট টাকা ৭৭ পয়সা। তবে এটি কম্পানিভেদে ভিন্ন ছিল। এনভিভিএল লিমিটেডের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের মূল্য ছিল চার টাকা ২২ পয়সা থেকে আট টাকা ৪৫ পয়সা। পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেড ৯ টাকা ৫ পয়সা, সেমক্রপ এনার্জি ইন্ডিয়া ৯ টাকা ৯৯ পয়সা এবং আদানি পাওয়ার বা এপিজেএল ১৪ টাকা দুই পয়সা।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply