উখিয়া প্রতিনিধি:
উখিয়ায় শতবর্ষের পৈতৃক ভিটে মাটি থেকে একটি অসহায় মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হিন্দু সম্প্রদায়
উখিয়া বাজারে পাশে স্থিত দেড় শত বহু বছরের পুরানো বাড়ির আঙ্গিনায় গিয়ে দেখা যায়, ওয়ালা পালং মৌজার ৯১৬ নং খতিয়ানে ৭০২৬ দাগ, ৭৩১৭ দাগের জমি যা ২২/১০/৫৩ ইংতে খরিদসুত্রে মৃত জাকির হোসেন মুন্সীর নামে বিএস লিপিবদ্ধ রয়েছে। সম্প্রতি ওই জমিতে একটি গৃহ নির্মাণ শুরু করলে উখিয়া থানা পুলিশ ওই স্থানে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায়।
এর আগে মুসলিম পরিবারকে চাপে ফেলতে অকারণে প্রধান সড়কে অবরোধ করে। যা ওসি উখিয়া থানাও সহকারি কশিনার (ভুমি)উখিয়া তাদেরকে বিরোধ সুরাহা করার আশ্বাসে শান্ত করে।
অপরদিকে সনাতনী সম্প্রদায় রবী, রতন ও মৃদুলের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শণ করেন।
দীর্ঘ শতবর্ষ বংশানুক্রমে মৃত বাচামিয়া অতপর তার পুত্র জাকের হােেসন মুন্সীর মৃত্যুস্থলে রফিক, শাহাব, খুরশিদা, নাজিম, জসিম, উদ্দিন, মিসবাহ, মোসলেহ কফিল, সাজেদা, খালেদা ও শাহিন ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্তমতে কয়েকটি বসতবাড়িতে রুপান্তর করে বসবাস করে আসছে জন্মাবধি।
উল্লেখ্য যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান মুলত: আরএস জরিপে মন্তব্যের কলামে ১-১২শতক জমি লিপিবদ্ধ রয়েছে। যা বর্তমানে ২ নাম্বার বনসম্পত্তি হিসেবে খতিয়ানে চুড়ান্ত লিপিবদ্ধ আছে। যার উত্তরাংশে সনাতনী সম্প্রদায়ের গুটিকয়েক লোকদের মাধ্যমে অন্তত ৪০টির মত দোকান গৃহ ভাড়ায় প্রদান করা হয়েছে। যা সরকার বা পুজা কমিটির অগোচরে রতন দে, মৃদুল ও রবি প্রকাশ ডাইলার নেতৃত্বে সেলামী এবং ভাড়া আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছে বছরে লাখ লাখ টাকা।
দক্ষিণাংশে মুন্সি পরিবারের নিজ নামীয় ৭০২৬, ৭০২৯ দাগ ৭৩১৭ বাটা দাগের জমিসহ তৎলাগোয়া বিএস জরিপের চড়ান্ত প্রচার মতে বনবিভাগের আংশিক জমি মুন্সি পরিবারের ভোগদখলে রয়েছে। উল্লেখিত লোকদের গোপনীয় সংযোগ রেখে শুধুমাত্র মুন্সি পরিবারে বিরুদ্ধেই লেগে রয়েছে।
এদিকে কথিত শ্বসান বা বনভুমিতে জবর দখলকারী উল্লেখ করে উজ্জ্বল দাশ, হারাধন চক্রবর্তী, সজল ধর, প্রদীপ ধর, যতীন্দ্র দাশ, হারাধন ড্রাইভার, শ্যমল দাশ, নুরুল আলম, বাদশা মিয়া ও বাদল কর্মকারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ২২/৮/২০০৯ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু উল্লেখিত লোকদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া না করে শুধুমাত্র একটি মুসলিম পরিবারে পিছু পড়ায় যা এলাকায় সচেতনকে ভাবিয়ে তুলেছে।
ইত্যবসরে সনাতনী সম্প্রদায়ের চাপেরমুখে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক মহোদয় সরেজমিন পরিদর্শণ করেন। এসময় উপস্থিত উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিরস্থায়ী সমাধান কল্পে প্রাচীর করার জন্যও পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, ওই জমিটি ভুমিহীন পরিবারের প্রতি আদিষ্ট হয়ে জাকের হোসেন মুন্সি নামে ১/১২/৮৬ইং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কক্সবাজার মহোদয় শ্ৰেণী পরিবর্তন করে অনুমোদন ঘোষনা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে চলমান রয়েছে ।