শুভ মহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আগমন ধ্বনি আজ শনিবার থেকে শোনা যাবে। ভোরে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পর্ব বা মহালয়ার প্রথম প্রহরে শেষ হয় পিতৃপক্ষের আর শুরু হয় দেবীপক্ষের। একই সঙ্গে দুর্গাপূজার মূল অংশের প্রস্তুতিপর্ব হয়। তাই ভোর থেকেই সব পূজামণ্ডপে পুরোহিতের ভক্তিকণ্ঠে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা-নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমোঃ নমোঃ’ মন্ত্র উচ্চারণ শোনা যায়। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোতে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
‘মহালয়া’ কথাটি এসেছে মহালয় থেকে। মহালয়ের অর্থ পরমাত্মা। বৃহৎ আলয়। সৌর আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের নাম মহালয়। দুর্গোৎসবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বের একটি মহালয়া।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলন করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এতে বলা হয়, এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০টি মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আর এক বছরে সারা দেশে ৩৫টি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দ্বীপেন চ্যাটার্জী, শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, পূরবী মজুমদার, বাসুদেব ধর, তাপস পাল, তাপস পাল, গোপাল দেবনাথ, সুবাশিং বিশ্বাস সাধন, বিনয় ঘোষ প্রমুখ।