অনলাইন ডেস্ক:
করোনা মহামারির কারণে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণে ফি বাবদ নেওয়া টাকার একাংশ আজ থেকে ফেরত পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) শিক্ষার্থীদের এই টাকা ফেরত দিতে শুরু করছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। গতকাল সোমবার (৮ মার্চ) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ জমাকৃত অর্থের চেক বোর্ডের হিসাব শাখা (১ নম্বর ভবনের ৩ তলা, কক্ষ নং-২০৮) থেকে বিতরণ করা হবে। শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তাঁর প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে (স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ) কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই চেক অফিস চলাকালে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি বা জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে। চেক গ্রহণের পর তাতে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে হিসাব শাখা থেকে সংশোধন করে নিতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলআপের চেক গ্রহণের তারিখ ৯ মার্চ ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলা। ১০ মার্চ ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলা। এ ছাড়া ১৯ মার্চ ঢাকা মহানগরে দেওয়া হবে।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল প্রকাশের দিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের কিছু অংশ ফেরত দেওয়া হবে। পরদিন ৩১ জানুয়ারি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এসংক্রান্ত নির্দেশ জারি করে।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতি পত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে ৩০ টাকা করে এবং ব্যাবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে আরো ১০ টাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে ফেরত দেওয়া হবে। বোর্ড এই টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীপ্রতি ২০০ টাকা করে এবং আইসিটি বিষয়ক পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত আরো ২৫ টাকা কেন্দ্র থেকে ফেরত দেওয়া হবে। অন্যান্য ব্যাবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্রপ্রতি অতিরিক্ত ৪৫ টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে।
বোর্ড আরো জানায়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা টাকার ১০ শতাংশ এবং আইসিটির ব্যাবহারিক বিষয়ের জন্য পরীক্ষার্থীপ্রতি ২০ টাকা দিয়ে ব্যয় নির্বাহ করবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষার্থীপ্রতি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে ১৬০ টাকা হারে দেবে। এই টাকা পরীক্ষার গোপনীয় কাগজ পরিবহন ও বোর্ডে জমাদান, সংরক্ষণ এবং প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করা হবে।