জবি প্রতিনিধি :
আগস্ট মাস বেদনার মাস, এ মাস আসলেই আমরা শোকাহত থাকি। এই আগস্ট মাসেই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মানব বর্ম তৈরি করে তাকে রক্ষা করলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণীসহ ২৪ জন মারা গিয়েছিলেন। এই আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধুর পরিবার নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। একটি ওয়েবিনারে এসব বলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
রবিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে ‘স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আজকে প্রশ্ন এসেছে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল কিনা, এটি অবশ্যই বাস্তববাদী প্রশ্ন। আমি বলবো বেগম খালেদা জিয়া আপনারই উচিত এটির প্রমাণ নিশ্চিত করা। স্বামী ভেবে যাকে আপনি ফুল দিচ্ছেন, অন্যকেউ যদি থেকে থাকে সেখানে? যদি সেখানে আপনার স্বামী না থেকে থাকে? এটি আপনারই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ব্রিজ নেই, কালভার্ট নেই, বিদ্যুৎ নেই। এরপর ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে ২৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। সব কিছু কাটিয়ে যখন বঙ্গবন্ধু দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে আসার জন্যে কাজ করছেন, তখন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগীতায় জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিলো। বিএনপি আজকে শিষ্টাচারের কথা বলে, সেদিন কোথায় ছিল তাদের শিষ্টাচার? যেদিন বেগম খালেদা জিয়া সন্তান হারান, একজন মমতাময়ী মা ছুটে গিয়েছিলেন, আরেকজন মাকে সান্ত্বনা দিতে। তিনি তখন দরজা পর্যন্ত খোলেননি, কোথায় ছিল সেদিন শিষ্টাচার?’
সভায় ‘বঙ্গবন্ধু’ : বাঙালির সংস্কৃতি চেতনাবোধ ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আফজাল হোসেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামছুল কবির। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক।