বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভা নির্বাচনের তারিখ ১৬ জানুয়ারি যতই এগিয়ে আসছে প্রচার প্রচারনা ততই জমে উঠেছে। ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে প্রচারনার ঝড়। প্রচারের জোয়ারে বোয়ালমারী শহর এখন পোস্টার আর মাইকের নগরী হয়ে ওঠেছে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে একের পর এক মাঠে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতাগণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহামুদা বেগম ক্রিকের পর প্রচারে নেমেছেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ হোমিও প্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ রায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও অতিশ দিপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান লিয়াকত শিকদার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক তানভির আকতার শিপার প্রমুখ। প্রতিদিন গণসংযোগসহ মধ্য রাত অবধি বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখছেন তাঁরা।
সোমবার বিকেলে উপজেলা মাল্টি পারপাস অডিটরিয়ামের সামনে নৌকার প্রার্থী সেলিম রেজা লিপন কে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বোয়ালমারী পৌর আওয়ামী লীগ এক জনসভার আয়োজন করে। জনসভায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলিম মোল্যার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ হোমিও প্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ রায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও অতিশ দিপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান লিয়াকত শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা প্রমুখ। এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন মৃধা (জগ মার্কা) নিয়ে মাঠে থাকলেও প্রচারণায় নেই বললেই চলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আ: শুকুর শেখ। নেই কোনো নির্বাচনী অফিস। কৌশলে কোনো রকম প্রচারনায় রয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে না থাকলে বিএনপির কোনো অবস্থানই থাকতো না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর জোরেই মাঠে রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের জমকালো প্রচারনায় মুখরিত নির্বাচনী এলাকা।