অনলাইন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সামনে আধিপত্য দেখাতে গিয়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে উপজেলা পরিষদের বাইরের সড়কে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে মন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষে জড়িতদের ছত্রভঙ্গ করেন। পরে মন্ত্রী পুলিশি পাহারায় সভাস্থল ত্যাগ করে গ্রামের বাড়ি চলে যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন পর মন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা আসেন। মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সর্মথকরা উপজেলা কমপ্লেক্স এর কাছে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় অপর মেয়রপ্রার্থী এমএ আজিজের সমর্থকেরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুপক্ষের সমর্থকরা দু’দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এরপর কসবা উপজেলায় সড়কপথে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে স্মার্ট ভোটার আইডি বিতরণ অনুষ্ঠানে যান মন্ত্রী। মন্ত্রী আসার কিছু আগে কসবা পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়রপ্রার্থী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও মেয়রপ্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজের সমর্থকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পরই দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান বলেন, আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে, বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।