কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
অস্বাভাবিক মাথার শিশুটির নাম রনি(১০)। বাড়ী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের গোড়দহ গ্রামে। পিতার নাম আব্দুর রশীদ মণ্ডল।জানা যায়, ৩ মেয়ের পর মিরপুরেরই এক ক্লিনিকে সিজারিয়ান বেবি হিসাবে রনির জন্ম হয়। জন্মের একমাস পর্যন্ত স্বাভাবিক শিশুর মতই বেড়ে উঠতে থাকে সে। এক মাস পর হঠাৎ অজ্ঞাতরোগে রনির মাথা অসম্ভব আকারে বাড়তে শুরু করে। এ সময় শিশু রনির উদ্বিগ্ন বাবা-মা প্রথমে রাজশাহীর বড় বড় ডাক্তার দেখায়। তাতে কোন কাজ হয় না। এক পর্যায়ে কবিরাজ ও সর্বশেষ হোমিও চিকিৎসা করিয়েও শিশু রনির অস্বাভাবিক মাথাটি স্বাভাবিক করতে পারেনি।সামথ্যের সবটুকু উজাড় করে চিকিৎসায় ব্যয় করেও সারাতে না পেরে দরিদ্র রনির পিতা প্রিয় সন্তানের রোগ নিরাময়ের আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছেন। শিশু রনি স্বাভাবিক শিশুর মতই কথা বলতে পারে। বাড়ন্ত মাথায় কোন জ্বালা যন্ত্রনাও নেই। তবে মাথার ভারে একটানা বেশিক্ষণ হাঁটাচলা করতে পারেনা। বছর দুই আগে একবার রনিকে গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করার উদ্যোগ নিয়েও সম্ভব হয়নি। কারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মনে করেন, রনি স্কুলে ভর্তি হলে স্কুলের অপরাপর শিশুরা রনির অস্বাভাবিক মাথা দেখে ভয় পেতে পারে।৩ কন্যার পর রনির জন্মতে পরিবারটিতে যে স্বপ্নের ডালপালা মেলেছিল,অজ্ঞাত রোগে অস্বাভাবিক মাথা বেড়ে যাওয়ায় রনি এখন অনেকটায় পরিবারটির কাছে বোঝায় পরিণত হয়েছে।শিশু রনির অজ্ঞাত রোগে মাথা অস্বাভাবিক বেড়ে যাবার কারণ উৎঘাটন ও নিরাময়ে সরকারীভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তুলেছে এলাকার সচেতন মহলের পাশাপাশি পরিবারটিও।