প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঙালি। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামেন। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল মুক্তিকামি মানুষের মুক্তির জন্য।
আজ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাশে থেকে আমার বাবাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। পঁচাত্তরের পর আমি যখন দেশে ফিরি তখন কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি কাউকে ভয় পাইনি, বাবার স্বপ্ন পূরণ করবই।
আর আমরা ছাত্রদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। সেজন্যই বলি অশিক্ষিতদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না। দেশের উন্নতি হতে পারে না।
এ ছাড়া ২০০৭ সালে ইমারজেন্সির সময় ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করেছে। সেই এক-এগারোর সময়েও ছাত্রলীগ কোনো আপস করেনি তারণ্যের শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যে ছাত্রসংগঠন তৈরি তাদের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।
এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই তারা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করে সমাবেশস্থলে যান।