বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার কেবল দু-একটি হালকা অস্ত্রের গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তারা মনে করে, থমথমে অবস্থার পরে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। ওপারের প্রকৃত অবস্থা বোঝা সম্ভব নয় বলে তারা ‘বড় ধরনের ঘটনা’র শঙ্কায় আছে।
একটি সূত্র জানায়, টানা দেড় মাসের যুদ্ধে মিয়ানমার সীমান্তের ১ নম্বর সেক্টরে আক্রমণ করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি।
তবে ২ নম্বর সেক্টরের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা এখনো কিছুটা নিরাপদে নিজেদের ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা বলেছে, সীমান্তে জওয়ানদের সতর্কাবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গত চার মাসে রাখাইন ও দক্ষিণ চিন রাজ্যের ৯টি শহর দখল করেছে। গত বছরের ১৩ নভেম্বর আরাকান আর্মি উত্তর রাখাইন রাজ্যে জান্তার সামরিক এবং বর্ডার গার্ড পুলিশ অবস্থানের বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরুর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ভাঙে। ২০২২ সালে মানবিক কারণে আরাকান আর্মি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল। সেটি স্থায়ী হয়েছিল এক বছর।
প্রায় প্রতিদিনই সামরিক জান্তার কাছ থেকে ফাঁড়ি ও ঘাঁটি দখল করছে তারা। আরাকান আর্মি দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপ পুরোপুরি দখল করেছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বাকি আটটি শহর রাখাইন রাজ্যের। রাখাইনের আরো কিছু এলাকায় জান্তার বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি।