উখিয়া,কক্সবাজার, প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্ঠা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। সারাদেশে যেভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে উখিয়াতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কোন প্রার্থী ভোটের মাঠে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এসময় সকলকে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ, জেলা নির্বাচন অফিসার এসএম শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইরফান উদ্দিন, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম আনোয়ার।
উপস্থিত প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদমান জামী চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম, প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরুল কায়েস চৌধুরী, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল হক আমিন, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা, প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের মটর সাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহামদ, আনারস প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সভায় উখিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রিটার্ণিং অফিসার সাহাব উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও রত্নাপালং ইউনিয়নের রিটার্ণিং অফিসার গোলশান আরাসহ ৫ ইউনিয়নের ৩৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিগত নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা প্রভাব বিস্তার করে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে ব্যালটে সীল মারার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার সম্মূখীন হতে হতে হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হলে সকল প্রার্থীদের সমান-সুযোগ দিতে হবে। প্রার্থীদের অভিযোগ গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ যে, উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৫জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৫ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৪জন। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী ৫৪জন, সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ২৮০জন এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।