অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে চান।
গতকাল শনিবার গুলশানের নগর ভবনে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বভার গ্রহণের বর্ষপূর্তি এবং পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ডিএনসিসি মেয়র তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে অদ্যাবধি নগরবাসীর কল্যাণে গৃহীত ও বাস্তবায়িত জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মোঃ আতিকুল ইসলাম চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান, জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, মহাখালীতে দেশের সর্ববৃহৎ “ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল” নির্মাণ এবং হাসপাতালটিতে ২টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১টি লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান হস্তান্তরের বিষয়েও কথা বলেন।
এসময় তিনি ডিএনসিসি এলাকায় একাধিক পার্ক, খেলার মাঠ, সাইকেল লেন, পাবলিক টয়লেট, ড্রেন, ফুটপাত, রাস্তা, ফ্লাইওভার, এস্কেলেটরযুক্ত ফুটওভারব্রীজ, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি স্থাপন, অত্যাধুনিক রোড সুইপারের ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণসহ পাইপলাইন স্থাপন এবং বিভিন্ন খাল উদ্ধারপূর্বক পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
নগরবাসীর জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সবার ঢাকা এ্যাপস চালুর বিষয়টি উল্লেখ করে মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পেনশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে।
এছাড়াও তিনি বর্ধিত মহানগরীর ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক, অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নে গৃহীত ও একনেক কর্তৃক অনুমোদিত ৪০২৫.৬২ কোটি টাকার প্রকল্পের বিষয়টিও তুলে ধরেন।
ডিএনসিসি মেয়র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজধানী ঢাকাকে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে অতীতের ন্যায় আগামী দিনগুলোতেও সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।