অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীতে পাতাল রেল নেটওয়ার্কের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১টি রুটের এলাইনমেন্ট প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪টি রুটের প্রাথমিক ডিজাইন কাজের অন্তর্ভুক্ত। রুট ৪টি হলো—ঝিলমিল থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার, শাহকবির মাজার রোড থেকে সদরঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার, কেরানীগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ কিলোমিটার।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা শহরে পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ সেমিনারে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে পাতাল রেল নির্মাণের লক্ষ্যে স্পেনের টিপসার নেতৃত্বে যৌথভাবে জাপানের পেডিকো, বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস, কেএসসি এবং বেটসকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সেতু সচিব মো. বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মেট্রোরেলের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পাতাল রেল নেটওয়ার্কের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১টি রুটের এলাইনমেন্ট প্রস্তাব উল্লেখ করেছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪টি রুটের প্রাথমিক ডিজাইন কাজের অন্তর্ভুক্ত। রুট ৪টি হলো—ঝিলমিল থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার, শাহকবির মাজার রোড থেকে সদরঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার, কেরানীগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ কিলোমিটার।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ লাখ কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ৪০ লাখ মানুষের যাতায়াত মাটির নিচে স্থানান্তর হবে এবং মাটির উপরিভাগ যানজট ও জনজট মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে রেলওয়ে এবং সড়ক পথের স্ল্যাব বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৯২.৫০ শতাংশ, নদীশাসন কাজ ৮০ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৪.৫০ শতাংশ। আশা করছি ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ইতোমধ্যেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিং কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে টিউবটির ২০০ মিটার রোড স্ল্যাব নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় টিউবটির ৭০০ মিটার বোরিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত টানেলের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৬৫ ভাগ।
তিনি জানান, সেতু বিভাগের অধীনে বাস্তবায়নাধীন অন্যান্য প্রকল্প হলো—মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটি এবং ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প।