Wednesday , 30 October 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গাঁজার গাছ
--প্রেরিত ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গাঁজার গাছ

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের সালনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হলের ৪১৩ নম্বর কক্ষ থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে এ গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হলের ৪১৩ নম্বর রুমে টবের মধ্যে একটি বড় আকারের গাঁজার গাছ দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা হল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। পরে হল প্রভোস্ট আব্দুস সালাম ওই হলে গিয়ে গাঁজার গাছটি উদ্ধার করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একটি গ্রুপ প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের কারবার করে আসছে। বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার হল প্রশাসনকে জানানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যে রুম থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয় সে রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিম খান থাকেন। ছাত্রশৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল সামার ২০২১ টার্মের ফাইনাল পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশের সহযোগিতায় তিনি সামার ২০২১ টার্মের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং আবাসিক হলে অবৈধভাবে অবস্থান করে বহাল তবিয়তে থাকতে থাকেন।
এদিকে, গাঁজার গাছ উদ্ধার হওয়ার কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাফিম খানের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। প্রভাবশালী এই গ্রুপটির কারণে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম এখন হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, এখানে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে কল করা হলে হল প্রভোস্ট আব্দুস সালামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সহকারী হল প্রভোস্ট উত্তম কুমার ঘোষের মোবাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply